জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মুখে ইসরায়েল
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে এমন একটি অভিযোগ আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে তোলা হচ্ছে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে। তবে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট এই অভিযোগকে নিষ্ঠুর ও অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দিয়েছেন। খবর এএফপির।
গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এই অভিযোগটি দায়ের করে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে যে ভয়াবহ যুদ্ধের সূচনা হয় দুপক্ষের মধ্যে, তা থেকে অনেকদূরে দি হেগের পিস প্যালেসের গ্রেট হল অব জাস্টিসে দুদেশের কেতাদুরস্ত কর্মকর্তারা আজ একে অন্যের মুখোমুখি হবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের স্বাক্ষরিত জাতিসংঘ গণহত্যা কনভেনশনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলকে আইসিজের মুখোমুখি করতে পারে। বিশ্বের আদালত হিসেবে পরিচিত আইসিজে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধ নিষ্পন্ন করে থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনার বিষয়টিকে স্বীকার করে হামাসের হামলার দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
প্রিটোরিয়ার দাখিল করা ৮৪ পৃষ্ঠার অভিযোগে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জাতিসত্তাকে ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ইসরায়েল সেখানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজগ এই ধরনের অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছেন। মামলায় লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়ে হারজগ বলেন, ‘এই অভিযোগের দাবিটি অযৌক্তিক ও নৃশংস।’
হারজগ বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যাব এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আলোকে আমাদের নিজেদের যুক্তি আত্মরক্ষার মাধ্যমে তুলে ধরব।’
যেহেতু এটি একটি জরুরি প্রক্রিয়া তাই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আইসিজে তার রুলিং দিতে পারে। এই রুলিং হবে চূড়ান্ত এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। যদিও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো অনেক সময় এই রুলিং মেনে চলে না। যেমন, ইউক্রেন যুদ্ধে আইসিজে রাশিয়াকে আগ্রাসন থামাতে বলেছিল।