ইয়েমেনে বিমান হামলায় সৌদি আরবের উদ্বেগ
সৌদি আরবের প্রতিবেশি দেশ ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বিমান হামলা চালিয়েছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি, এই হামলা ‘আত্মরক্ষামূলক’। আর এই হামলায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। রিয়াদ সেখানের উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এএফপির বরাতে বাসস বলছে, সংযত হওয়া এবং উত্তেজনা এড়ানোর কথা উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব লোহিত সাগর অঞ্চলে সামরিক অভিযান এবং ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তারা সেখানের পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
সপ্তাহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও ১০ দেশ দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে আবারও হামলা চালালে পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে হুতিরা আবার হামলা চালায়। এরপর ইয়েমেনে এই হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইয়েমেনে আরও সামরিক হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিতে তিনি কোনোরকম দ্বিধাবোধ করবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ আমার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চালানো এই আক্রমণকে জো বাইডেন হুতিদের নজীরবিহীন হামলার বিপরীতে ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হুতিরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হামলায় জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও হুতি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরে হুতিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় যুদ্ধবিমান ও টোমাহক ক্ষেণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে বেশকিছু মার্কিন গণমাধ্যম।