আবারও উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার বসবে তারা। প্রায় দুই মাস আগে সান ফ্রান্সিসকোয় এপেক শীর্ষ সম্মেলন চলাকালানী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার প্রায় দুই মাস পর ফের উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে বসছে দুদেশ। উত্তর কোরিয়া ও তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে এমন যোগাযোগ৷
উত্তর কোরিয়ার সমরসজ্জা ও তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনার মতো কারণে এশিয়া মহাদেশে চীন ও অ্যামেরিকার মধ্যে স্বার্থের সংঘাত আরও ঘনীভূত হচ্ছে৷ বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে শীতল সম্পর্কের কারণে উচ্চপর্যায়ে যথেষ্ট সংলাপের অভাব উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে৷ এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শুক্রবার ও শনিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মিলিত হচ্ছেন৷
বাইডেন ও শি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে হটলাইন চালু করা এবং সামরিক পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন উইলসন বলেন, সালাইভান ও ই সেই কৌশলগত যোগাযোগ এবং দায়িত্বশীলভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চালু রাখার উদ্দেশ্যে মিলিত হচ্ছেন৷
ওয়াং ই-র ব্যাংকক সফরের সময়ে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন ওয়াইডংয়ের নেতৃত্বে এক চীনা প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়া সফর করছেন৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পিয়ং ইয়ং চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷
গত সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ায় গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ঘাটতি পূরণ করতে সে দেশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে কিম নিজের অবস্থান আরও জোরাল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ গত কয়েক মাসে কিম চীনের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের আরো ঘনঘন আমন্ত্রণ জানিয়ে সে দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক নিবিড় করতে চাইছেন৷ সেইসঙ্গে একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষা করে কোরীয় উপদ্বীপেও উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছেন তিনি৷
এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া ও চীন মার্কিন উদ্যোগে উত্তর কোরিয়ার উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিরোধিতা করে আসছে৷
শুধু উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে নয়, তাইওয়ানের প্রশ্নেও চীন ও অ্যামেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে৷ চীনের তর্জনগর্জনের মাঝে তাইওয়ান বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস থেকে এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে৷ বৃহস্পতিবারই প্রথম দফায় সেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে৷ জনসাধারণের একটা বড় অংশ দীর্ঘ সামরিক প্রশিক্ষণ পেলে চীনের সম্ভাব্য হামলার মুখে তাইওয়ান আরো জোরাল প্রতিরোধ করতে পারবে বলে সে দেশের সরকার আশা করছে৷