গাজায় জাতিসংঘের সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করছে দাতা দেশগুলো
প্রধান কয়েকটি দাতা দেশ জানিয়েছে তারা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত সংস্থাগুলোতে অর্থ প্রদান বন্ধ করে দেবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় বেশ কয়েকজন সাহায্য সংস্থার লোক অংশ নিয়েছিল এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দাতা দেশগুলো। খবর এএফপির।
সম্প্রতি ওঠা ইসরায়েলি এই অভিযোগের পর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, তারা তাদের সাত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। এছাড়া সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তদন্ত করবে তারা। এই ঘটনার পর ইসরায়েল জানায়, তারা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গাজায় সংস্থাটির তৎপরতা বন্ধ করে দেবে।
ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, সংস্থার কোনো সদস্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন
গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও সাহায্য পাঠানোর পথ করে দিতে ইসরায়েলকে আইসিজের নির্দেশ
এ বিষয়ে জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানকারী তৎপরতায় দাতা দেশগুলোর প্রতি অর্থসাহায্য চালিয়ে নেওয়ার আহ্বানও জানান।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা জাতিসংঘের সংস্থায় অর্থ সাহায্য স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করে আরও কয়েকটি দেশও সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেয়। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও জাপান।