পাকিস্তানের নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের আশাতীত সাফল্য?
কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সঙ্গে জড়িত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আশাতীত সাফল্য লাভ করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে সরকারি ফলাফল ঘোষণার জন্য দীর্ঘ সময় নেওয়ায় কারচুপির আশঙ্কা বাড়ছে জনগণের মধ্যে। খবর এএফপির।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত বেসরকারি ফলাফলের হিসাবে দেখা যায় বেশ কিছু আসনে পিটিআইয়ের সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।
গতকাল নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষে ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় পর আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা নাগাদ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) কেবলমাত্র আটটি জাতীয় পরিষদের আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই ফলাফলে দেখা গেছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছে তিনটি আসন।
ইসিপি এর আগে ফলাফল ঘোষণার দীর্ঘসূত্রতার জন্য ইন্টারনেট সমস্যাকে দায়ী করে। তবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো স্থানীয়ভাবে ভোট গণনার ওপর ভিত্তি করে অনুমান নির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে লাহোরের ব্যবসায়ী ৩৫ বছর বয়সী নারী আমব্রিন নাজ বলেন, ‘কেন এত দেরি হচ্ছে? কেন রাত ১টার আগেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষ হলো না?’ বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি জানেন এখন কী হবে? পতনের মধ্য দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হবে। ডলারের দাম বাড়বে আর রুপির দাম কমবে। এসবই হবে দেরিতে ফলাফল ঘোষণার জন্য। পাশাপাশি নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তোলা হবে।’
এর আগে পিটিআইয়ের প্রধান সংগঠক ওমর আইয়ুব খান বলেছিলেন তার দল ভালো করেছে এ বিষয়ে তিনি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করার সামর্থ রয়েছে।’
তবে বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) বেশিরভাগ আসন পাওয়ার বিষয়েই ছিল সবার ধারণা। বিশ্লেষকরা বলছেন ৭৪ বছর বয়সী নওয়াজ শরীফ সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার কারণেই এমনটা হতে পারে।
তবে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বলছে পিএমএল-এনের অবস্থা তেমন একটা সুবিধের নয়। দলের প্রধান নওয়াজ শরীফ একটি আসনে তার প্রতিপক্ষের চাইতে পিছিয়ে আছেন। তার ভাই ২০২২ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া শেহবাজ শরীফও পিছিয়ে আছেন একটি আসনে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) অবশ্য ধারণার চাইতেও ভালো ফলাফল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দলটির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন যে তার কাছে আসা প্রাথমিক ফলাফল বেশ উৎসাহব্যঞ্জক।