কারচুপির অভিযোগে পাকিস্তানজুড়ে ইমরানের দলের বিক্ষোভ
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। যাদের অধিকাংশিই দেশটিতে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। তারপরও যেসব আসনে পিটিআই সমর্থিতরা হেরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, সেই সব আসনে ভোটকারচুপির অভিযোগে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। পাকিস্তানভিত্তিক জিও টিভি লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এরমধ্যে একটি আসনে ফলাফল স্থগিত আছে। আর বাকি ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
সরকার গঠনে এরইমধ্যে জোট গঠনে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাপ। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ তার দলের নেতাদের বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির জন্য প্রধানমন্ত্রী পদ দাবি করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারি। দ্য নিউজের সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে জিও টিভি এতথ্য তুলে ধরে বলেছে, বিলওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর শর্তে পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট সরকার গঠনেও রাজি পিপিপি। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ও চায় দলটি।
দ্য নিউজ পিএমএল-এন সূত্র থেকে জানতে পেরেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ শুক্রবার রাতে আসিফ জারদারি ও বিলাওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই সাক্ষাতে জোট গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এরপরের দিন গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পার্টি সূত্র জানিয়েছে, পিএমএল-এন নেতারা কেন্দ্রের পাশাপাশি পাঞ্জাবেও সরকার গঠন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেছেন। এদিন বৈঠকে নেতৃত্ব দেন শেহবাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনেটর ইসহাক দার, খাজা সাদ রফিক, সরদার আয়াজ সাদিক, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, মালিক মুহাম্মদ আহমদ খান, সিনেটর আজম নাজির তারা, আতাউল্লাহ তারার, খাজা ইমরান নাজির প্রমুখ।