সরকার গঠনে কতটুকু এগোল পাকিস্তান
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠন হয়নি দেশটিতে। যদিও জোট সরকার গঠনে দৌড়ঝাপের মধ্যে যাচ্ছে নির্বাচনে আসনের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সময়। এদিকে, সর্বোচ্চ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্রদের অধিকাংশই সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত হওয়ায় এই দলটিও চলছে সমান গতিতে। এরইমধ্যে দেশটির গণমাধ্যম সামা টিভি আজ রোববার জানিয়েছে, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) । যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দল দুটির সূত্র জানায়নি তারা।
এদিকে, পিটিআই নেতারা খাইবার পাখতুনখোয়ায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পার্লামেন্টারিয়ানসের (পিটিআই-পি) সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নিয়ে বিভক্ত। এক প্রতিবেদনে সামা টিভি জানিয়েছে, ডা. আমজাদ বলেছেন, ‘পিটিআই-পির সঙ্গে জোট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে।’ এ ছাড়া জুনায়েদ আকবর জোর দিয়ে বলেন, ‘মাহমুদ খানের নির্দেশে দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছিল।’
এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চাউর হয়, সরকার গঠনে পিপিপির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত ইমরান খান। যদিও জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআইনেতা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলি সাইফ এই তথ্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ উল্লেখ করে বলেন, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, প্রয়োজনে বিরোধীদলে বসবেন, কিন্তু পিপিপি ও পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট করবেন না।’
পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আফিস আলী জারদারি দেশটির সরকার গঠনে জোটগঠন প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশের দুদিন পর এমন খবর এসেছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা মনে করি, জোট সরকার গঠনে তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিৎ, যেমনটা আমরা মনে করি, সমঝোতা প্রক্রিয়ায় শুধু পিটিআই নয়, সব রাজনৈতিক দলেরই এগিয়ে আসা উচিৎ।’ তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ও এর জনগণকে সফল করতে আমরা সবাইকে নিয়েই আমাদের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষাবিষয়ক এজেন্ডা ও অন্যান্য অনুরূপ বিষয়গুলো নিয়ে এগোতে চাই এবং মিয়ান সাহেব ও অন্যান্য বন্ধুদের সফল করতে চাই।’
এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া সাবেক চিফ মিনিস্টার পারভেজ খট্টক গতকাল শনিবার পিটিআই-পি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তার আগে বিবিসি জানায়, পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদ কায়সার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন। বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইমরান খানের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ওমর আইয়ুব খানের নাম ঘোষণা করেন তিনি। স্বৈরাচার মোহাম্মদ আইয়ুব খানের নাতি ওমর আইয়ুব খান বর্তমানে পিটিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।