গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কঠোর সমালোচনায় চীন
গাজা উপত্যকায় যত দ্রুত সম্ভব একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা একটি প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার প্রতি ভুল বার্তা দিয়েছে বলে মনে করে বেইজিং। পাশাপাশি তারা বলেছে, এতে করে গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হলো। খবর বিবিসির।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী প্রস্তাবনাতে ইসরায়েলকে রাফায় আগ্রাসন না চালাতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদে আলজেরিয়ার প্রস্তাবনাটি আটকে দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য দেশই প্রস্তাবটি সমর্থন করে। তবে যুক্তরাজ্য ভোটাভুটির সময় অনুপস্থিত থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটোর সমালোচনা করে জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, ‘এই উদ্যোগ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
ঝাং জুন বলেন, ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার ক্রমাগত অবস্থান গাজায় চলতে থাকা গণহত্যার প্রতি এক ধরনের সবুজ সংকেত।’
চীনের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘এই সংঘাত পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা আরও বড় যুদ্ধের ঝুঁকিতে ফেলছে। যুদ্ধের নরকতুল্য এই আগুন থেকে গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে রক্ষা করতে হলে গাজার আগুন নেভাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছে ফ্রান্সও। জাতিসংঘে ফ্রান্সের প্রতিনিধি নিকোলাস ডি রিভেরা প্রস্তাবটি গৃহীত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, এই পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর জবাবে গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।