গাজা শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের সম্মতি, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু
গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল শনিবার (২ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে মানবিক সাহায্যপণ্যসহ ত্রাণ সামগ্রী ফেলতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তির কাঠামোতে ছয় সপ্তাহের জন্য অস্ত্রবিরতির কথা রয়েছে যা খুব দ্রুত শুরু হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে হামাসকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে এমন কিছু পণবন্দিকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘যে কোনোভাবে হোক ইসরায়েল এই চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তাই বলা যায় এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।’
যুদ্ধপীড়িত গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বিমান থেকে মানবিক সাহায্যপণ্য ফেলতে শুরু করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই এই ঘোষণা এলো।
গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে জাতিসংঘ। এ সপ্তাহেই সেখানে মানবিক সহায়তাপণ্যবাহী ট্রাক বহর থেকে ত্রাণসামগ্রী নেওয়ার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
এদিকে, গতকাল শনিবারের বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড জানায়, সংঘাতের কারণে দুর্দশায় পড়া বেসামরিক লোকজনের জন্য ফেলা ওই পণ্যের ভেতর ৩৮ হাজার জনের জন্য খাবার ছিল। কেন্দ্রীয় কমান্ড আরও জানায়, ওইসব খাদ্য সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তৈরি এবং তাতে কোনো শুকরের মাংস ছিল না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস সীমান্ত ডিঙিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। পরে আলোচনার পর দুপক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময় হলেও এখনো হামাসের হাতে ১৩০ জন পণবন্দি রয়েছে। তবে এদের মধ্যে কয়জন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তা জানা যায়নি।