সরে দাঁড়ালেন নিকি হ্যালি, রিপাবলিকান প্রার্থী হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন তিনি। আশঙ্কা ছিল তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। এমনকি ৯১টি ফৌজদারি অভিযোগ মাথায় নিয়ে কীভাবে ট্রাম্প নেতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন তা নিয়েও ছিল নিকি হ্যালির প্রশ্ন।
এতো কিছুর পরেও জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে পেরে উঠলেন না। গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) নিজের নির্বাচনি প্রচারণার ইতি টানার ঘোষণা দিলেন তিনি। এর ফলে রিপাবলিকান প্রার্থী হতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে আর কোনো বাধা রইল না। খবর আলজাজিরার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিকি হ্যালির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে এখন বোঝা যাচ্ছে রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পের অবস্থান কতটা শক্ত হয়েছে। তবে একথা বলা যায় যে নিকি হ্যালির ট্রাম্পবিরোধী বক্তব্য দলে বেশ কিছু মানুষের মনে দাগ কেটেছিল। তারা মনে করতেন ট্রাম্প প্রার্থী হলে দলেরই ক্ষতি হবে।
তবে নিকি হ্যালি বা ট্রাম্প বিরোধীদের এই বার্তা মধ্যপন্থি ভোটারদের মনোযোগ কেড়ে নিতে পারেনি। সুপার টুইসডে প্রাইমারিতে যে ভোট পান নিকি হ্যালি তার ফলাফলই তাকে নির্বাচনি প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। ১৫টি রাজ্যে অনুষ্ঠিত এই প্রাথমিক নির্বাচনে তিনি একটি মাত্র রাজ্য ভারমন্টে জয়লাভ করেন যা কিনা বাম ঘেঁষা হিসেবে পরিচিত। নিকি হ্যালি তার নির্বাচনি যাত্রার সমাপ্তি টানেন ৮৯ ডেলিগেটের সমর্থন নিয়ে যেখানে ট্রাম্পের প্রতি ছিল ৯৯৫ ডেলিগেটের সমর্থন। এই ডেলিগেটরাই মূলত নির্ধারণ করেন দলের প্রর্থী কে হবেন।
গতকাল বুধবার এক ঘোষণায় নিকি হ্যালি বলেন, ‘সমস্ত সম্ভাবনা অনুসারে আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় পার্টি কনভেনশনে ডোনাল্ড ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।’
নিকি হ্যালি ট্রাম্পকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকলেও যে সব ভোটার এখনো প্রার্থীতার প্রতি সমর্থন জানাতে সন্দেহ পোষণ করছেন তাদের মন জয়ের জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। নিকি হ্যালি বলেন, ‘এখন আমাদের দলের ভেতর ও বাইরে যেসব ভোটার রয়েছেন যারা তাকে সমর্থন করছেন না তাদের ভোট পাওয়াটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর।’