স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্পকে বাইডেনের আক্রমণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রম্পকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বর্ণনা করে দেশবাসীকে দেশের গণতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
জো বাইডেন তার ভাষণের নাটকীয় শুরুতে বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও দেশের নাগরিকদের এই বিপদ সম্পর্কে জাগিয়ে তুলতে চাই। আজ দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র যে আক্রমণের মুখে পড়েছে, তা প্রেসিডেন্ট লিঙ্কন ও গৃহযুদ্ধের সময়ও পড়েনি। আজ দেশের বাইরে ও ভেতরে গণতন্ত্র যে হুমকির মুখে পড়েছে, তা একটি বিরল ঘটনা।’ খবর এএফপির।
ভাষণে বাইডেন তার সম্ভাব্য নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে মাথা নত করেছেন। তবে আমি মাথা নত করব না।’
বাইডেন তার বক্তব্যে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করে তাকে ‘আমার পূর্বসূরি ও একজন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ ছিল দেশবাসী ও তার সমর্থকদের প্রতি বাইডেনের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য সুযোগ। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেওয়া এই ভাষণ ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সামর্থ্য প্রমাণের জন্য একটি পরীক্ষাই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
রিপাবলিকানরা তাকে বারবার হেনস্তা করার চেষ্টা চালিয়ে গেলে বাইডেনও পাল্টা আক্রমণ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কৌতুক করতেও ছাড়েননি তিনি। অনেক বিষয়ে তিনি তার ভাষণ সাজানো ছিল যার মধ্যে তিনি কথা বলেন ধনীদের কর ছাড়ের বিষয় থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুতেও।
কংগ্রেস সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ ক্যাপিটল ফ্লোরে যখন জো বাইডেন প্রবেশ করেন তখন চারদিক থেকে ‘আরও চার বছর’ বলে চিৎকার করে উল্লাস প্রকাশ করেন তার সমর্থকরা। তবে হোয়াইট হাউস থেকে কংগ্রেসে যাওয়া পথে গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনাকারী বিক্ষুব্ধ লোকজনের বাধার মুখে পড়তে হয় তার গাড়িবহরকে।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চাইতে কিছুটা এগিয়ে আছেন।