গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় আজ সোমবার (১৮ মার্চ) অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া আশেপাশের এলাকায় বিমান হামলাও চালানো হয়েছে। খবর এএফপির।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সেনারা আল-শিফা হাসপাতালে এই মুহূর্তে একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করছে। হাসপাতালটিতে হামাসের শীর্ষ ‘সন্ত্রাসীরা’ অবস্থান করেছে এমন গোপন সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই অভিযান শুরু করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন হাসপাতালের চারদিকে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক অবস্থান নিয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসেও আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েলি সেনাবাবাহিনী। সে সময় এই অভিযান ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার জন্ম দেয়।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে দশ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল বারবার বলে আসছে ওই হাসপাতাল ও অন্যান্য মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকে সামরিক তৎপরতা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। তবে হামাস এই দাবি অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে হামাসের মিডিয়া অফিস থেকে এই অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, আল-শিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ট্যাঙ্ক, ড্রোন ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে হাসপাতালের ভেতরে গুলিবর্ষণ করা যুদ্ধাপরাধ।
হামাস ও ইসরায়েলের এই যুদ্ধ শুরু হয় গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে। ওই হামলায় এক হাজার ১৬০ জন নিহত হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। হামাস এ সময় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে আসে গাজায়। ইসরায়েল বলেছে হামাসের হাতে এখনও ১৩০ জন বন্দি রয়ে গেছে।
অন্যদিকে হামাসকে ধ্বংসের লক্ষ্য নিয়ে গাজা উপত্যকায় বিরামহীন বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।