ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ইইউ
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স ও আলজাজিরা এমন খবর প্রকাশ করেছে।
গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য সম্প্রতি কূটনৈতিক প্রচারণা শুরু করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। শুক্রবার অসলোতে নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছেন পেদ্রো সানচেজ।
বৈঠক শেষে সানচেজ জানান, ইইউর সদস্য দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ রয়েছে।
এদিকে, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় দেশগুলোকে একযোগে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’সম্ভব হবে।
ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত মাস থেকে একটি প্রচারণা শুরু করেছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা। এ সপ্তাহে ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাইকেল জানিয়েছেন, ইইউর বাইরে সমমনা অন্য দেশগুলোও এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারে।
বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, রোমানিয়া, সুইডেনসহ- নয়টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইইউর অবস্থান হলো, কেবল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের শর্ত হিসেবেই তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
স্প্যানিশ সরকারের এক মুখপাত্র গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, গাজার পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও বেলজিয়ামের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। আগামী বুধবার ব্রাসেলসে ইইউর ২৭ সদস্যের সম্মেলনের আগেই হবে এই আলোচনা। এর আগে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও।