যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোকে ‘অনৈতিক ও অন্যায্য’ বললেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট
ব্যাপক সমর্থন নিয়ে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের প্রচেষ্টাকে আবারও ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে রুখে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই তৎপরতাকে ‘অনৈতিক, অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। খবর আলজাজিরার।
মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে ফিলিস্তিনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রদান একটি নির্লজ্জ আগ্রাসন। দেশটির এই পদক্ষেপ গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে খাদের অতলে পৌঁছে দেবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর যুক্তরাষ্ট্র ভোটো দেওয়ার পর বলেন, ‘বাস্তবতা হলো প্রস্তাবটি পাস হয়নি। তবে এতে আমাদের ইচ্ছাশক্তি ভেঙে যাবে না। আমাদের প্রত্যয় থেকেও আমরা পিছপা হব না।’
রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগ থেমে থাকবে না। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি অনিবার্য এবং এটি বাস্তব।’ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখবেন এই অধিবেশন মূলতবি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিচার, স্বাধীনতা ও শান্তির প্রক্রিয়াতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অসহায় মানুষ তাদের জীবন দিয়ে এর মূল্য দিচ্ছে।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের পক্ষে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনকারী জাতিসংঘে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আমের বেন্ডজামা বলেন, ‘সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ লাভে বাঁধভাঙা সমর্থন একটি পরিষ্কার বার্তা দেয়, পূর্ণ সদস্য হতে তাদের প্রতি সমর্থন আরও বাড়বে ও জোরালো হবে।’
অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা এখন চূড়ায় অবস্থান করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা না হলে পুরো অঞ্চল খাদের অতলে তলিয়ে যাবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে গুতেরেস বলেন, ‘প্রতিশোধ পরায়নতার রক্তাক্ত অধ্যায়ের অবসান ঘটানোর এখনই প্রকৃত সময়।’