নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা
অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম এলাকার নূর শামস শরণার্থী শিবিরে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। কয়েক যুগের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ধ্বংসযজ্ঞে রূপ নেওয়া এই অভিযানে একজন কিশোরসহ পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের আবাসিক ভবনের ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছে নারী ও শিশুসহ আরও আটজন। খবর আলজাজিরার।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেমের নূর শামস শরণার্থী শিবিরে সামরিক যান ও বুলডোজার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী। অভিযানে এ পর্যন্ত পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তুলকারেম ব্রিগেডের এক নেতাকে এ সময় হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে অভিযান এখনও শেষ হয়নি বলে জানা গেছে।
নূর শামস শরণার্থী শিবিরের অধিবাসীরা জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযানে কয়েক যুগের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা দিনের আলোতে শিবিরের একটি ব্যস্ত চত্বরে সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে এক কিশোর নিহত হয়।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তারা নূর শামস শরণার্থী শিবিরে থাকা তাদের কর্মীদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে।
এদিকে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ছয় মাসের যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিহতের সংখ্যা এসে পৌঁছেছে ৩৪ হাজার ১২ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছে ৪২ জন আর আহত হয়েছে আরও ৬৩ জন। এই যুদ্ধে আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জনে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনার জন্য তুরস্কে পৌঁছেছেন। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনকারী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।