গাজায় একজনও নিরাপদ নয় : ইউএনআরডব্লিউএ
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ্পে লাজারিনি বলেছেন, গাজায় জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর অনেক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু ইউএনআরডব্লিউএ’র ১৮৮ জন সদস্য নিহত হয়েছে। ত্রাণকর্মীসহ গাজায় আর কেউ নিরাপদ নয়।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এসব কথা বলেন ফিলিপ্পে লাজারিনি। খবর আল জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত রোববার জাতিসংঘের গাড়িতে করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইউরোপীয় হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন জাতিসংঘের দুজন কর্মী। এ সময় হঠাৎ তাদের গাড়িতে আগুন ধরে যায়। জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই হামলায় গাজায় সংস্থাটির প্রথম বিদেশি কর্মী নিহত হয়েছেন।
যদিও ইসরায়েল এখনও তাদের বাহিনী এই হামলার জন্য দায়ী কিনা, তা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে, জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের জন্য ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জারি করা উচ্ছেদ আদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার মানুষ দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা ছেড়েছেন।
ফারহান হক বলেন, বেসামরিক লোকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একইসঙ্গে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব নিয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি জোর দিয়ে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, বেসামরিক নাগরিকরা এখানে থাকুক বা স্থানান্তরিট হোক, অবশ্যই তাদের সুরক্ষা ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে। আর যারা চলে যেতে চায়, তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময়, নিরাপদ পথ এবং থাকার জন্য একটি নিরাপদ জায়গা দিতে হবে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ’র তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে গাজার প্রায় চার লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।