রাহুল গান্ধীর সম্পত্তি ২০ কোটি, সস্ত্রীক অমিত শাহর ৬৫ কোটি
স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে রাহুল গান্ধীর ২০ কোটির বেশি, অমিত শাহের ৬৫ কোটি ও অভিষেকের এক কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তি আছে৷
রাহুল গান্ধী, অমিত শাহ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিনজনই লোকসভা ভোটে লড়ছেন৷ তিনজনই হলফনামায় তাদের সম্পত্তির পরিমাণের কথা জানিয়েছেন৷ সেখান থেকেই দেখা যাচ্ছে, ৫৩ বছর বয়সি রাহুল গান্ধী ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে আয় করেছেন এক কোটি দুই লাখ টাকা৷ তার হাতে এখন ৫৫ হাজার টাকা আছে৷ ২০২১-২২ সালে তার আয় ছিল এক কোটি ৩১ লাখ টাকা৷
শেয়ার বাজারে রাহুল চার কোটি ৩০ লাখ এবং মিউচুয়াল ফান্ডে তিন কোটি ৮১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন৷ এছাড়া ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, বিমা ও অন্যত্র তিনি ৬১ লাখ ৫২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন৷ তার কাছে ৩৩৩ গ্রামের গহনা আছে, যার দাম চার লাখ ১২ হাজার টাকা৷ তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ নয় কোটি ২৪ লাখ টাকা৷ আর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হলো ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা৷
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বোন প্রিয়ংকার সঙ্গে দিল্লির মেহরৌলিতে ফার্ম হাউস আছে, বাড়ি আছে৷ এছাড়া গুরুগ্রামে তার দুটি বাণিজ্যিক স্পেস আছে৷ তার আর্থিক দায়ের পরিমাণ ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা৷ রাহুল ফ্লোরিডার রলিনস কলেজ থেকে স্নাতক এবং কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজ থেকে এম ফিল করেছেন৷
অমিত শাহর হলফনামা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ও তার স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা৷ ইকনমিক টাইমস জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা৷
ক্যাশ, ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, মেয়াদী জমা প্রকল্প, সোনা, রুপো এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে ১৭ কোটি ৪৬ লাখের শেয়ার এবং ৭২ লাখ ৮৭ হাজারের সোনা আছে৷ হলফনামায় তার নামে কোনো গাড়ির উল্লেখ করেননি অমিত শাহ৷
তার স্ত্রী সোনাল শাহর ক্যাশ, ব্যাংকে জমা রাখা, শেয়ারে বিনিয়োগ করা অর্থ এবং গহনা মিলে ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আছে৷ সোনা ও রুপোর গয়না আছে এক কোটি ১০ লাখ টাকার৷
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অমিত শাহর ১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার সম্পত্তি আছে৷ এর মধ্যে কৃষিজমি, আংশিক চাষযোগ্য জমি, একাধিক বাড়ি আছে৷ সোনাল শাহরও একাধিক বাড়ি ও জমি আছে৷ তার এই সম্পত্তির পরিমাণ ছয় কোটি ৫৫ লাখ টাকা৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হলফনামায় বলেছেন, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তার আয় ছিল ৮২ লাখ টাকার বেশি৷ ২০২১-২২ সালে তার আয় ছিল এক কোটি ৫১ লাখ টাকা৷
অভিষেক জানিয়েছেন, তার হাতে ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা আছে৷ তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ২৬ লাখ টাকা৷ এর মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা, বিমা, সোনা, রুপা মিলে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা ও তার স্ত্রীর ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা আছে৷
তার নামে কোনো জমি বা বাড়ির উল্লেখ হলফনামায় নেই৷ তার আয়ের উৎস হিসাবে অভিষেক জানিয়েছেন, বেতন, সাম্মানিক ও ব্যাংকের সুদ থেকে তার আয় হয়৷
তিনি আইআইপিএম থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাস করেছেন৷