রাইসির হেলিকপ্টার পাওয়া গেছে, কারো বেঁচে থাকার লক্ষণ নেই
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। তবে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের কোনো আরোহীর বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। খবর এএফপির।
গতকাল রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টাররের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে ৬৩ বছর বয়সী অতিরক্ষণশীল এই প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
এদিকে হেলিকপ্টারটি ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত এর কোনো আরোহী বেঁচে আছে কিনা সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে প্রাণের কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।
এর আগে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান পিরহুসেইন কুলিভান্দ আজ সোমবার (২০ মে) জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে, তবে পরিস্থিতি ‘ভালো নয়’।
পিরহুসেইন কুলিভান্দ বলেন, ‘হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো নয়।’
এদিকে ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফারস নিউজ এজেন্সির সরবরাহ করা ছবিতে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ দেখানো হয়।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। এরপর থেকে মোট ৭৩টি উদ্ধারকারী দল পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বৃষ্টি ও ঘণ কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছিল সে সময়।
জানা গেছে, বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। যার মধ্যে দুটি নিরাপদে ফিরে এসেছে। যে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলি-হাসেম। আলি-হাসেম ওই অঞ্চলে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রতিনিধি ছিলেন।
জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহেরদাদ বাজারপাস অন্য দুটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। ওই হেলিকপ্টার দুটি নিরাপদে ফিরে আসে।