আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চিন্তাভাবনা
ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, তিনি তার দেশের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
কংগ্রেসের এক শুনানিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি এই ঘোরতর ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্লিঙ্কেন প্রস্তাব রাখেন যে, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কাজ করবেন। খবর বিবিসি’র।
আইসিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে এ বিষয়ে এ সপ্তাহেই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্যরাষ্ট্র নয় তবে এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির বিষয়ে সংস্থাটির উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল দেশটি।
মার্কিন সিনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে থাকা অন্যতম শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য জেমস রিসচ এ বিষয়ে এক শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) বলেন, অন্যদেশ বিশেষ করে যেসব দেশের স্বাধীন, আইনসিদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থা রয়েছে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এর জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘একটি উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের উচিত দুদল মিলে কাজ করা। এবং আমি এটা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘কী করতে হবে এবং সঠিক কোন পদক্ষেপগুলো নিতে হবে সে বিষয়ে একমত হতে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। আমাদের অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গত সোমবার আইসিসির প্রধান কৌসুলি করিম খান এক ঘোষণায় জানান, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
করিম খান আরও জানান, তিনি হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন। হামাসের এই তিন নেতা হলেন- গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, কাসেম ব্রিগেডের প্রধান মোহামেদ দিয়েফ এবং হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ।