আইসিজের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাফায় ইসরায়েলের হামলা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফা শহরে অবিলম্বে সামরিক হামলা বন্ধ করতে হবে-আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) এমন নির্দেশের পরেও আজ শনিবার (২৫ মে) রাফাহ শহরসহ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। খবর এএফপির।
এদিকে একই সময়ে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে প্যারিসে আলোচনায় বসতে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তৎপরতা গণহত্যার সমতুল্য- আইসিজেতে এমন অভিযোগ জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত গতকাল শুক্রবার রাফায় হামলা বন্ধের আদেশ দেয়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদেরও মুক্তি দিতে বলে আইসিজে।
দি হেগ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আদেশের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রয়োগের সরাসরি কোনো কাঠামো নেই। গতকালের আদেশে শীর্ষ আদালতটি মিসর ও গাজার মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ারও আদেশ দেয়।
তবে ইসরায়েল রাফার ক্ষেত্রে তাদের তৎপরতার ধারা পরিবর্তন করবে কিনা সে বিষয়ে কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে তারা বলছে আইসিজে বিষয়টিকে ভুলভাবে নিয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তাচি হানেবি বলেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজনের জীবনযাত্রায় পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংসাত্মক তৎপরতার জন্য ইসরায়েল সামরিক হামলা চালাচ্ছে না এবং কখনো তা করবেও না।
অন্যদিকে, ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার শাসন ক্ষমতায় থাকা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস আইসিজের আদেশের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে সংগঠনটি রাফাহ ছাড়া গাজার অন্যান্য অংশে যুদ্ধ বন্ধের আদেশ না দেওয়ায় রুলিংয়ের সমালোচনাও করেছে।
তবে যাই হোক না কেন, বাস্তবতা হলো আজ শনিবার (২৫ মে) সকালেও গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ সময় গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সেনাসদস্য ও হামাসের যোদ্ধাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহ এবং মধ্যাঞ্চলে দেইর আল-বালাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে।