রাফায় প্রাণহানি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনবে না
গাজার রাফায় গত রোববার ইসরায়েলের বিমান হামলার পর কয়েকটি তাঁবুতে আগুন ধরে গেলে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। বাইডেন প্রশাসন বলেছে, ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের রেড লাইন অতিক্রম করার মতো বড় কোনো স্থল অভিযান নয়।
‘ইসরায়েলিরা বলেছে এটা একটা দুঃখজনক ভুল,’ হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে এই মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাফায় সপ্তাহান্তে যে হামলা হয়েছে সেটি কি সেই ধরনের ‘মৃত্যু ও ধ্বংসের ঘটনা’ যেটি সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে সতর্ক করে বলেছিলেন যে, তেমনটা হলে ইসরায়েলে আরও সহায়তা বন্ধ হতে পারে?
জবাবে কারবি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, আমরা রাফায় বড় কোনো স্থল অভিযান দেখতে চাই না। যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও সম্ভাব্য অনেক প্রাণহানি ছাড়া ইসরায়েলিদের পক্ষে হামাসকে অনুসরণ করা অনেক কঠিন হবে। আমরা এখনও তেমনটা দেখিনি।’ তিনি বলেন, ইসরায়েলিরা বেশিরভাগ সময় রাফার উপকণ্ঠে হামলা করেছে।
রাফায় সম্প্রতি যে স্থল অভিযানগুলো হয়েছে তার কারণে ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে কি না প্রশ্ন করা হলে কারবি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি এটা বলছি। এটা বড় কোনো হামলা না।’
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাফার পশ্চিমে মঙ্গলবার ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক হামলায় তাঁবুতে থাকা অন্তত ২১ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
রোববারের হামলা সম্পর্কে ইসরায়েল বলছে, দুর্ভাগ্যবশত কিছু একটা দুঃখজনকভাবে ভুল হয়েছে। আর মঙ্গলবারের হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইসরায়েল বলছে, রোববার তারা হামাসের দুজন সদস্যকে টার্গেট করেছিলেন এবং সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটানোর কোনো ইচ্ছা ছিল না।
ওই হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। সে কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে অধিবেশনে বসেছিল। বুধবারও অধিবেশন চলবে। বুধবার সকালেও গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল বলে জানিয়েছে এএফপি।