রাফায় হামাস-ইসরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের তাল আস-সুলতান এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। হামাসের অতর্কিত হামলায় আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার একদিন পর রকেট চালিত গ্রেনেড ও মর্টার শেল নিয়ে হামাস যোদ্ধারা নতুন করে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের গুলিতে রাফায় আরও নয় ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। মানবিক সাহায্যপণ্য পৌঁছানোর কাজ সহজ করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী কিছু সময়ের জন্য ‘অভিযান’ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বহর নিয়ে ব্যবসায়ী ও ত্রাণকর্মীরা অপেক্ষা করছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা সাত সপ্তাহের স্থল অভিযানে রাফাহ শহরের ৬০ শতাংশ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এই সামরিক অভিযানে ২২ জন ইসরায়েলি সৈন্য এবং সাড়ে পাঁচশ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি হামলায় কোনো কোনো ফিলিস্তিনিদের পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে অভিযোগ আসছে। বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটড প্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কোনো কোনো পরিবারের চার প্রজন্মের সদস্যরা নিহত হয়েছে।
এদিকে, গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রধান জেরেমি কনিনডাইক বলেছেন, গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ অংশে অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তিনি জানান, সাহায্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে আর এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে মে মাসের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিং অবরোধ করার পরপরই।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ওই দিন ইসরায়েলে হামাসের হামলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ১৩৯ জনে। এছাড়া হামাস বেশ কিছু ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে।