দুদিনের সফরে রাশিয়ায় মোদি, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর নরেন্দ্র মোদি প্রথম বিদেশ সফরে রাশিয়া পৌঁছেছেন। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা চালানোর পর এটিই মোদির প্রথম মস্কো সফর। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনাকালে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
মস্কোতে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না। খবর এনডিটিভির।
পুতিনের সঙ্গে নৈশভোজের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত সর্বদাই জাতিসংঘ সনদ, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানায়। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো কিছুর সমাধান নেই। আলোচনা ও কূটনীতিই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যাওয়ার পথ।’
মস্কো সফর নিয়ে এক বিবৃতিতে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবগুলো দিক পর্যালোচনা করতে চাই। একইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখতে চাই।’
এ ছাড়াও অসাধু ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে ভারতীয় নাগরিকদের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ভারতে প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া।
জাতিসংঘে ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবগুলোতে ভারত বরাবরই ভোটদানে বিরত থেকেছে।
তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘মোদির পুনরায় ক্ষমতায় আসা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার কার্যকারিতাকে তুলে ধরে। ফলাফলই কথা বলে। অর্থনীতির দিক থেকে ভারত এখন বিশ্বব্যাপী তৃতীয় স্থানে রয়েছে।’
এ নিয়ে গত এক দশকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে ১৬তম বার সাক্ষাৎ হলো। দুই নেতা সর্বশেষ ২০২২ সালে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘অর্ডার অব দ্য হলি অ্যাপোস্টল অ্যান্ড্রু দ্য ফার্স্ট’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। রাশিয়া সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অস্ট্রিয়ায় যাবেন। এটি হতে যাচ্ছে ৪০ বছরের মধ্যে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম অস্ট্রিয়া সফর।