স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে লেবাননে বিমান হামলা : ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি তার সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছেন, লেবাননে সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হচ্ছে, এ কারণে যেন তাদের জন্য শত্রুর ভূখণ্ডে প্রবেশের পথ তৈরি হয়।
সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি বলেন, ‘আপনারা শুনতে পাচ্ছেন যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে উড়ছে। আমরা সারাদিন ধরে হামলা চালাচ্ছি, আপনাদের সম্ভাব্য প্রবেশের জন্য পথ তৈরি করে দিতে। হিজবুল্লাহকে পর্যদুস্ত করার কাজ চালিয়ে যেতে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।’ খবর বিবিসির।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল বুধবারের (২৫ সেপ্টেম্বর) হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এ হামলায় হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা অধিদপ্তরে আঘাত হানা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
এদিকে, দুদেশের মধ্যে শত্রুতাপূর্ণ এই সংঘাত থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতা ক্রমশ গতি পাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে তুলে ধরেছে।
তবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হালেভির অতিসাম্প্রতিক মন্তব্যের মাধ্যমে খুব সাধারণভাবেই অনুমান করা যায়, লেবাননের ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান এখন অনিবার্য।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সপ্তম ব্রিগেডের মহড়া চলাকালে সৈন্যদের উদ্দেশে হার্জি হালেভি বলেন, ‘আমরা লেবাননের সবখানে তাদের ওপর হামলা ও আঘাত করছি।’
হার্জি হালেভি আরও বলেন, ‘লক্ষ্য খুব পরিষ্কার- নিরাপদে যাতে বাসিন্দারা উত্তরে ফিরে যেতে পারে। আর সেটি করতে হলে আপনাদের অবস্থান পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে, যার অর্থ দাঁড়ায় আপনাদের সামরিক বুট (জুতো) শত্রুর ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে।’ তিনি বলেন, ‘সৈন্যরা শত্রুদের ধ্বংস করে দেবে, তাদের সব অবকাঠামো ধ্বংস করে দেবে।’
দুটি রিজার্ভ ব্রিগেডকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় মিশনে অংশ নিতে ডাক দেওয়ার পরপরই দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানের এ ধরনের মন্তব্য জানা গেল। তবে এই মুহূর্তে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে প্রবেশ করতে চলেছে, তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত মনে হয়নি এখনই কিছু ঘটতে চলেছে।