গাজায় হামলার বর্ষপূর্তি কাল, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরুর এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে ইসরায়েলি নৃশংসতার শিকার গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে বিক্ষোভ প্রকাশের এই ধারায় ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন শহরে ফিলিস্তিনপন্থি সমর্থকরা জড়ো হন। গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে তারা যত দ্রুত সম্ভব এই সংঘাত অবসানের আহ্বান জানান। খবর এএফপির।
এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামাসের হামলার একবছর পূর্তিকে সামনে রেখে আরও বেশ কিছু প্রতিবাদ ও স্মরণসভার আয়োজন রাখা হয়েছে। হামাসের ওই হামলায় এক হাজার ২০৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় মারা গেছে কমপক্ষে ৪১ হাজার ৮২৫ জন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক। গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান দিয়েছে যাকে জাতিসংঘ বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আগ্রাসী ইসরায়েল এই মুহূর্তে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে লেবাননে। লেবাননের মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইহুদি অধ্যুষিত দেশটি। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলা নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে মধ্যপ্রাচ্যকে। এই যুদ্ধ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সবাই।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মেরুকরণের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুপক্ষেরই সমর্থনে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের আরও বেশকিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শহরে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও একই শহরে দুপক্ষের কর্মসূচিও রয়েছে।
গতকাল শনিবার বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহরে জানানো হয় প্রতিবাদ আর এর মধ্যে রয়েছে ইতালির রোম, জার্মানির বার্লিন, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন, ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, স্পেনের মাদ্রিদ, সুইজারল্যান্ডের বাসেল ও গ্রিসের এথেন্স। এসব দেশের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট শহরগুলো থেকেও ইসরায়েলবিরোধী জমায়েতের সংবাদ পাওয়া গেছে।