হিজবুল্লাহর বাঙ্কারে মিলেছে ৫০ কোটি ডলারের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ!
হিজবুল্লাহর গোপন বাঙ্কারে ৫০ কোটি ডলারের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে ইসরায়েল জানায়, বৈরুতের একটি হাসপাতালের নিচে হিজবুল্লাহর গোপন ওই বাঙ্কারটি রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, বাঙ্কারটিতে প্রচুর পরিমাণে নগদ ডলার ও স্বর্ণ রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি ডলার। এগুলো হিজবুল্লাহর বিভিন্ন কার্যক্রমে অর্থায়ন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
হিজবুল্লাহর আর্থিক সম্পদ জোগানদাতার খোঁজে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে। গত রোববার আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগরি টেলিভিশনে ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আজ রাতে আমি একটি গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত যেই স্থানটিতে আমরা হামলা করিনি, সেই জায়গায় হাসান নাসরুল্লাহর লাখ লাখ ডলারের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ রয়েছে। গোপন ওই বাঙ্কারটি বৈরুতের আল-সাহেল হাসপাতালের নিচে।’
ড্যানিয়েল হাগরি বলেন, ‘ওই স্থান থেকে হিজবুল্লাহকে আর্থিক জোগান দেওয়া হতো অভিযোগ আছে। তবুও এখন পর্যন্ত ওখানে হামলা হয়নি। ওই বাঙ্কারটিতে আনুমানিক বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ ও নগদ অর্থ রয়েছে। এই অর্থগুলোই লেবাননের রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ব্যবহার হতে পারে।’
রোববার রাতে হিজবুল্লাহর প্রায় ৩০টি অর্থিক সংশ্লিষ্ট স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত আর্থিক সংস্থা আল-কার্ড আল-হাসানের (একিউএএইচ) পরিচালিত সাইটগুলোতেও হামলা করা হয়।
হাগরি দাবি করেন, বিমান হামলার মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল ভূগর্ভস্থ ভল্ট। যেখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ রয়েছে। ওখান থেকে ইসরায়েলে হামলার জন্য অর্থায়ন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও, হাগরি হামলায় সব অর্থ নষ্ট হয়ে গেছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, আরও বিমান হামলা হবে। বিশেষ করে বড় বড় আর্থিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।