নাসরুল্লাহর উত্তরসূরিকে হত্যার দায় স্বীকার ইসরায়েলের
লেবানন ভিত্তিক মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেব যাকে মনে করা হতো, সেই হাশেম সাফেদ্দিনকে বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তিন সপ্তাহ আগে ইরানপন্থি মিলিশিয়া সংগঠনটির কমান্ডারদের লক্ষ্য করে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে চালানো হামলায় হাশেম সাফেদ্দিনকে হত্যা করা হয়। খবর এএফপির।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে পরিচালিত হামলায় হিজবুল্লাহর অন্যান্য কমান্ডারদের সঙ্গে সংগঠনটির নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফেদ্দিন এবং গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান আলি হোসেইন হাজিমা নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, বিমানবাহিনী বৈরুতের দক্ষিণে দাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহর প্রধান গোয়েন্দা সদরদপ্তরে হামলা চালায়। ওই হামলার সময় সেখানে ২৫ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া অবস্থান করছিল বলে জানায় তারা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা যান হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর তার দূর সম্পর্কের ভাই হিসেবে পরিচিত সাফেদ্দিনকেই হিজবুল্লাহর পরবর্তী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগের বিমান হামলার পর থেকেই তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সাফেদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল হারজি হালেভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা নাসরুল্লাহকে পেয়েছি, তার স্থান পূরণের লক্ষ্যে থাকা পরবর্তী প্রার্থীকে পেয়েছি, আরও পেয়েছি সংগঠনটির বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ নেতাকে।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত এক বছর ধরে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ চলতে থাকার মধ্যেই ইসরায়েল এখন লেবাননে তার দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে। আর এ লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বরের শেষভাগ থেকে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা শুরু করে তারা। পাশাপাশি চলতে থাকে স্থলপথে আক্রমণ। ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় লেবাননে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫৫২ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।