ইসরায়েলি হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত : নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, শনিবার ভোরে ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলায় ইসরায়েল ‘ইরানের প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’।
জেরুজালেম থেকে সিনহুয়া জানায়, গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং চলমান সংঘাতে নিহত সৈন্যদের স্মরণে একটি স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইরানের ওপর হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট ও শক্তিশালী, এটি তার সব লক্ষ্য অর্জন করেছে।’
নেতানিয়াহু এ হামলায় ‘সমন্বয় ও সহায়তার জন্য’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
৭ অক্টোবর ২০২৩-এ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা হয়। সেই দিন, হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলি সীমান্তে হামলা চালায়, যার ফলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের আক্রমণ পরিচালনা করেছে, যার ফলে শনিবার গাজা-ভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে ৪২, ৯২৪ জন মারা গেছে।
তেহরানের ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল শনিবার ভোরের আগে ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করে। ইরান বলেছে, অক্টোবরের গোড়ার দিকে তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশানকে ইসরায়েলের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর দাবি করেছে যে শনিবার ইসরায়েলি হামলার ফলে ‘সীমিত ক্ষতি’ হয়েছে।
রোববার অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সব লক্ষ্য অর্জন করা যায় না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘যখন আমরা গাজায় আটক অপহৃতদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের নৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে আসি, তখন আমাদের বেদনাদায়ক আপস করতে হয়।’