ইসকন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে যা বলল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রাষ্ট্রদোহিতার মামলার গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তিনি এক সময় ইসকন নেতা ছিলেন। দায়িত্বপালকালে শিশুরা তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে। যে অভিযোগ পৌঁছে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইসকনের আন্তর্জাতিক শিশু সুরক্ষা কার্যালয়ে (সিপিটি)। পরে ১৮ বছরের শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগে তার ওপর দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। সেই চিন্ময় কৃষ দাসকে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যার উত্তর দিয়েছেন মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
ইসকন এবং চিন্ময় দাসের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর ইসকনকে ‘বিশ্বব্যাপী সম্মানিত প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তাদের সামাজিক সেবার ইতিহাসের প্রশংসা করেন। চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি জানান, ‘আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা, ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা আইনানুগ এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে তাদের আইনি অধিকার পুরোপুরি রক্ষা পায়।’
ভারতীয় গণমাধ্যম আজ তাক বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে এটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, সাংবাদিকরা রণধীর জয়সোয়ালকে সংখ্যালঘু ইস্যু, চিন্ময় ও ইসকন বিষয়ক প্রশ্ন করেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ভারত বরাবরই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং হুমকির বিষয়টি জোরালভাবে তুলে ধরেছে।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সংখ্যালঘু সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা উগ্রপন্থী মতাদর্শের বৃদ্ধি, সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ঘটনা এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব ঘটনা শুধুমাত্র গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন নয়।
সংখ্যালঘু সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রণধীর বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপদে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা আবারও বাংলাদেশকে আহ্বান জানাই।