বিদেশে থাকা সিরীয়দের দেশে ফেরার আহ্বান অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর
দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর বিদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় নাগরিকদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপগুলো আল-বশিরকে আগামী মার্চ মাস নাগাদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মনোনীত করার পর ইতালি থেকে প্রকাশিত দৈনিক কোরিরে দেল্লা সেরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিদেশে অবস্থান করা লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। খবর এএফপির।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে আল-বশির বলেন, বিদেশে থাকা লোকজনের মানবিক মূলধন এবং তাদের অভিজ্ঞতা দেশ গড়ার কাজে লাগানো হবে।
সিরিয়ার নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়ে আল-বশির বলেন, ‘সিরিয়া এখন একটি মুক্ত দেশ যা কিনা তার মান ও মর্যাদা অর্জন করেছে। ফিরে আসুন। আমাদের অবশ্যই পুনর্জন্মের মাধ্যমে দেশ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। সবার সাহায্য আমাদের প্রয়োজন।’
গত সপ্তাহে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের পাঁচ যুগের শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসলামপন্থি বিরোধী জোট। এ সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি লোক নিহত হয় দেশটিতে। পাশাপাশি দেশের অর্ধেকেরও বেশি লোক বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। লাখ লাখ লোক শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় বিভিন্ন দেশে।
তবে আসাদ পালিয়ে গেলেও এখন নানান অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে সিরিয়া। দেশটিতে গোত্র সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। যদিও বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামপন্থি গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শামস বলেছে, সিরিয়ায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকবে। দেশটির বিভিন্ন সম্প্রদায় যেমন খ্রিস্টান, কুর্দি ও আলাওয়াটিসরা এখন অপেক্ষা করছেন এটাই দেখার জন্য যে আল-বশির সরকার তাদের রক্ষায় কী উদ্যোগ নেয়।
এদিকে ক্যাথলিক চার্চ প্রধান পোপ ফ্রান্সিস আজ এক বার্তায় সিরিয়ায় সব ধর্মের মানুষকে পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছেন।