গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮৭
আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২১ শিশু এবং ২৫ জন নারীও রয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এ নিয়ে গত ১৫ মাস ধরে দখলদার ইসরায়েলের চালানো হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৭৮৮ জনে। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা আজ একটি বৈঠকে বসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের দুই অতি-ডানপন্থি এবং অতি-জাতীয়তাবাদী মন্ত্রী।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় প্রতিদিন আনুমানিক ১৫ জন শিশু যুদ্ধের আঘাতের শিকার হচ্ছে, যা তাদের জীবন বদলে দেওয়ার মতো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
এর আগে, দীর্ঘদিনের আলোচনার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।