যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হচ্ছে টিকটক, যা বলছে হোয়াইট হাউজ
বিশ্বে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১৯ জানুয়ারি (রোববার) থেকে বন্ধ হচ্ছে। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এ ব্যাপারে স্থগিতাদেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এ প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকটক বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রোটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোলড অ্যাপ্লিকেশনস অ্যাক্ট (পিএএফএসিএ) আইনে স্বাক্ষর করার সময় বেইজিং-ভিত্তিক অ্যাপ বাইটড্যান্স বন্ধের ব্যাপারে গত এপ্রিলে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদের শেষ দিনটিতে টিকটক নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, যদি না চীনা মালিকানাধীন বাইটড্যান্স অ্যাপটির যুক্তরাষ্ট্র অংশের ব্যবসা অন্য কোথাও বিক্রি করে।
এ অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষ ব্যবহার করছে। নিষেধাজ্ঞার সময় ঘনিয়ে আসার কারণে এর ব্যবহারকারীরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, অ্যাপটি নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ আসতে পারে। এ ব্যাপারে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। যে মামলায় টিকটক নিষেধাজ্ঞার বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করছে।
রোববার নিষিদ্ধ হচ্ছে টিকটক?
যদি সাত দিনের মধ্যে টিকটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) মার্কিন অ্যাপস্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলা হবে। এছাড়া মার্কিন প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থাগুলিকে অ্যাপটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য বলা হবে।
তবে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ না করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের এক কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ না করার উপায় খুঁজবেন।
এছাড়া বাইডেন প্রশাসনের এক সদস্য বলেছেন, রোববার হঠাৎ করে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা আশা করে না।
ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ফক্স নিউজকে বলেছেন, নতুন প্রশাসন জনগণের তথ্য সুরক্ষিত রেখে টিকটক নিষিদ্ধ না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
টিকটকের সিইও শো চিউর সোমবার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে, যা টিকটক নিষিদ্ধ না হওয়ার ব্যাপারে আরেকটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।