ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ : তালেবান মুখপাত্র
আফগানিস্তানে ফের নিষিদ্ধ হতে পারে সংগীত। গত মঙ্গলবার তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। তাই আশা করছি, আমরা লোকজনকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার বিষয়টি বোঝাতে পারব, তবে চাপ প্রয়োগ করে না।’
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নব্বইয়ের দশকে তালেবান শাসনকালে দেশটিতে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কড়াভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আর কেউ এই নিয়ম অমান্য করলে তাঁকে গুরুতর শাস্তি পেতে হতো।
কিন্তু ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে তালেবান উৎখাত হলে দেশটিতে সংগীতচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটে। সেখানে প্রচুর কনসার্ট ও উৎসব হতো। এমনকি আফগানিস্তানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিক প্রতিষ্ঠা হয়, সেখানে নানা অনুষ্ঠানও উদযাপন করা হয়। পাশাপাশি দেশটির সব নারী অর্কেস্ট্রা দেশে ও বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
জাবিউল্লাহ নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ‘ভিত্তিহীন’। তিনি বলেন, নারীদের সব সময় ঘরেই থাকতে হবে বা মুখ ঢেকে রাখতে হবে, এমন নয়। তিনি বলেন, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা বাইরে বের হতে পারবেন না, এটাও ঠিক নয়। যেসব নারী তিন দিন বা এর বেশি সময়ের জন্য কোথাও যেতে চান, সেখানে পুরুষ অভিভাবক লাগবে। নারীরা আগের মতোই তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
গত মঙ্গলবার জাবিউল্লাহ যথাযথ নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত সুরক্ষার খাতিরে নারীদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেন। কারণ হিসেবে তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন সদস্যদের নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা এখনো সুপ্রশিক্ষিত নন। তাই তাঁরা নারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বসতে পারেন।’