অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬-এর শেষ ভাগের প্রস্তুতি চলছে বেশ জোরেশোরে। স্টল বরাদ্দ দেওয়া শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রকাশনা ব্যস্ত সময় পার করছে নিজেদের ঘর গোছাতে।
মেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এবারের মেলায় প্রায় ৪০২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ১৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৬৪৯টি স্টল থাকবে বাঙালির এ প্রাণের উৎসবে। বইমেলা শুরু হতে বাকি আর তিন দিন। বইমেলা এবার একদিন বেশি পাবে, কারণ এ বছর লিপইয়ার, তাই মেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কেউ কাঠ আর পিচ বোর্ড, আবার কেউ ইট দিয়ে গড়ে নিচ্ছেন নিজেদের প্রকাশনা। পাঠকের হাতে পৌঁছে দিতে উদগ্রীব প্রকাশকরা। সেভাবেই চলছে প্রস্তুতি। মেলা উদ্বোধনের আগেই প্রস্তুত হয়ে যাবে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।
সাতসকালে হেঁটে হেঁটে নিজের প্যাভিলিয়ন তদারকি করতে দেখা গেল মওলা ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আহমেদ মাহমুদুল হককে। বইমেলা নিয়ে তাঁর প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এবারের বইমেলায় প্রায় ৬০-৭০টি নতুন বই আসছে এবং আমাদের প্যাভিলিয়নের কাজও শেষ হয়ে এসেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, হরিশঙ্কর জলদাস, মহাদেব সাহা, সৈয়দ শামসুল হক, আনোয়ারা সৈয়দ হক, ফটোসাংবাদিক পাভেল রহমানসহ বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য লেখকের বই এবার আমরা পাঠকের সামনে হাজির করব। এ ছাড়া দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ নানা কারণে এবারের বইমেলা নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।’
একটু পিছিয়ে আসতেই দেখা হয়ে গেল ঘাসফড়িংয়ের স্বত্বাধিকারী শ্যামল কুমার দাসের সঙ্গে। তিনি কাজ করছিলেন নিজের স্টলে। মেলার প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার আমরা প্রায় ৩০টির মতো নতুন বই আনছি। প্রবীণদের সঙ্গে কিছু নবীন লেখকের বই এবার আমাদের মূল আকর্ষণ।’ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বইমেলা পাঠক ও প্রকাশক উভয়কেই সমৃদ্ধ করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
মেলা উদ্বোধনের পরপরই বাংলা একাডেমি অঞ্চল পরিণত হবে পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের মিলনমেলায়।