প্রকাশিত হলো নুসরাত ফতেহ আলীর ওপর বই
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো ‘নুসরাত—বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর’ বা ‘Nusrat—the Voice of Faith’ শীর্ষক ড. পিয়্যের-অ্যাঁলা বোয়ের বই উপস্থাপনা, আলোচনা, লালনসংগীত ও কবিগানের অনুষ্ঠান।
ড. পিয়্যের-অ্যাঁলা বো একজন ফরাসি। গান নিয়ে তাঁর দিন কাটে। তাই প্রধান পরিচয় সংগীত গবেষক। সে সঙ্গে তিনি লেখালেখিও করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের তিনি সহযোগী গবেষক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। সুফি শিল্পী নুসরাত ফতেহ আলী খানের জীবন ও সংগীত নিয়ে তাঁর গবেষণার বয়স এক দশক।
ফতেহ আলী খানের ছিল জাদুকরি গলা। তিনশ গানের অ্যালবাম তিনি প্রকাশ করেছেন, যেগুলো বিক্রি হয়েছে লাখ লাখ কপি। সুফি কবিদের ভাব ও বাণী প্রসার তাঁর লক্ষ্য ছিল। সুফিসংগীতের বিশ্বব্যাপী প্রসারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
ফতেহ আলী খানের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন ড. পিয়্যের। তাই তাঁর বই ‘নুসরাত—বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর’ উঠে এসেছে এই কাওয়াল গায়কের খুব ব্যক্তিগত জীবন।
বইটি ফরাসি, ইংরেজি এবং উর্দু ভাষায় প্রকাশিত হয়। আগামী বছরের শুরুতে বইটি প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাতেও।
এ বইয়ের উপস্থাপনা স্মরণীয় করে রাখতেই কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল নুসরাতের ওপর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। সে সঙ্গে অধ্যাপক কায়সার হক বইটি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। দেশের স্বনামধন্য লালনশিল্পী ফরিদা পারভীনও গানের মাঝেমধ্যে ‘লালন এবং সুফিবাদ’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শেষ ধাপে আরিফ দেওয়ান ও আলেয়া বেগম আলো কবিগান পরিবেশন করেন। আরিফ দেওয়ান দেশের প্রখ্যাত বাউলশিল্পী। তাঁর অনেক জনপ্রিয় গানের অ্যালবাম আছে বাজারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আমি এক পথের বাউল’, ‘প্রেমের স্মৃতি’, ‘বেহেশতি সওগাত’ ইত্যাদি। আলেয়া বেগম আলো ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদপুরে। ছয় বছর বয়স থেকে তিনি গান গাইতে শুরু করেন। কবিগান এবং জারিগানে তাঁর ওস্তাদ আবদুর রহমান বয়াতি।