শ্রাবণের ধারাপাতে হুমায়ূন স্মরণ
১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। আজ শ্রাবণের মেঘ নেমে এসেছিল বৃষ্টি হয়ে।
তুমুল জনপ্রিয় এই লেখকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে এসেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য ও তাঁর ভক্তরা।
সকাল ১০টায় নুহাশ পল্লীতে ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেন হুমায়ূন আহমেদের দুই ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব। এরপর ঢাকায় ফিরে যান তাঁরা। দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে সকাল বেলায় কবর জিয়ারত করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ করেছেন এমন ১৩ জন প্রকাশকও তাঁর কবর জিয়ারত করেন।
এ ছাড়া নুহাশ পল্লীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৫০০ জন শিশু নুহাশ পল্লীতে উপস্থিত ছিল। তারা সকাল থেকেই কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-দরুদ পড়ে। দুপুরের পর তাদের কোরআন খতমও হয়ে যায়। এরপর তারা প্রত্যেকেই দুপুরের খাবার খায়।
এ বিষয়ে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে এতিম বাচ্চাদের নিজ হাতে খাওয়াতে খুব পছন্দ করতেন। তাই আমিও তাঁকে একইভাবে স্মরণ করতে চাই। হুমায়ূন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
বিকেল ৩টায় নুহাশ পল্লীতে ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত হন সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। তাঁর স্ত্রী তানিয়া আহমেদ অসুস্থ থাকার কারণে আসতে পারেননি বলে জানান তিনি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎও বলা হয় তাঁকে।
২০১১ সালে হুমায়ূন আহমেদের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। দেশ ও দেশের বাইরে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরে নুহাশপল্লীর লিচুতলায় তাঁকে সমাহিত করা হয়।