আগস্ট যেতে দেন, টের পাবেন কত ধানে কত চাল : ফখরুলকে নানক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদেরকে রাজপথের ভয় দেখান, রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটুন, নির্বাচন মোকাবিলা করেন। আগস্ট মাসটা যেতে দেন, তারপর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শাহাবুদ্দিন মজুমদারের এই আলোকচিত্র কর্মশালার আয়োজন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামরিকতন্ত্রকে পদাঘাত করার জন্য এই আওয়ামী লীগ লড়াই করেছে, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
সরকার পতনে বিএনপি নেতাদের হুমকি-ধমকির প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ নেতা নানক বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই মির্জা ফখরুল সাহেব নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেন। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শব্দবোমা ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি দিয়ে এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না। এই আওয়ামী লীগ আপনাদের প্রতিরোধ করেছে। জনগণকে সাথে নিয়ে ঘাড় ধরে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়েছে। আর এই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখান? নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে দেন, নির্বাচনের পথে হাঁটুন। নির্বাচনকে মোকাবিলা করেন। সেই নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবে হবে। সেই নির্বাচনে যদি আপনারা জয়লাভ করতে পারেন, আপনাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে আমরা বরণ করে নেব। আপনাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো।
নানক বলেন, শেখ হাসিনা যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি ৫ বছর পূর্ণ ক্ষমতায় থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারক-বাহক। আমাদের নেত্রী সত্যের ধারক-বাহক। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারক-বাহক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। আর যারা এই হত্যাকাণ্ডে, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কলকাঠি নেড়েছে, প্লট তৈরি করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বাংলার মানুষের কাছে তাদেরকে চিহ্নিত করা এখন আমাদের নৈতিক ও পবিত্র দায়িত্ব।
এই বাংলাদেশে ওই হায়েনারা ২১ শে আগস্ট, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই হায়েনাদের আর বাংলাদেশের মানুষ চায় না। তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই রাজপথে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
একইসঙ্গে দেশের সকল প্রগতিশীল শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলার উদাত্ত আহ্বান জানান সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।