আগুনে পোড়া লঞ্চটি নির্মাণে দুর্বলতা ছিল
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি নির্মাণে দুর্বলতা ছিল। মালিক ও শুকানিসহ লঞ্চটি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও দুর্বলতা ছিল। এমন তথ্য উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। গতকাল সোমবার রাতে তদন্ত কমিটি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে এ তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানান নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছাড়ে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে রাত ৩টার দিকে লঞ্চে আগুন লাগে। এ দুর্ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যুর খবর জানায় প্রশাসন। এতে আহত ও দগ্ধ হয়েছে অন্তত ৮০ জন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল রাতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সময় নিয়েছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। মালিক ও শুকানিসহ এ লঞ্চটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের দুর্বলতা ছিল বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। লঞ্চটি নির্মাণের মধ্যেও দুর্বলতা ছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মালিক হোক বা যারাই দায়ী হোক, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতগুলো মানুষের জন্য যে যানবাহন, সে সব যানবাহনে কেন ইন্স্যুরেন্স নাই, সেটা নিয়েও জবাবদিহিতার আওতায় আসবে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। লঞ্চটির ইঞ্জিনেও সমস্যা ছিল। এটার জন্য ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী। এজন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’