আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অনলাইন শতভাগ সেবা দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সোমবার ঢাকায় আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর আয়োজিত অনলাইনে সেবা প্রদান শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০ ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সেবা প্রদানের পরিমাণ ৫২টি। ব্যবসায়ীগণ এখন এ সকল সেবা বাসায় বসে অনলাইনে গ্রহণ করতে পারবেন। এ দপ্তরের কোন সেবা গ্রহণের জন্য সিসিআইএন্ডই অফিসে যেতে হবে না। এটা সরকারের জন্য বড় সফলতা। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল অনলাইন সেবা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে অনেক এগিয়ে নিবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন। অনলাইনে ব্যবসায়ীদের জন্য সকল সেবা নিশ্চিত করে দায়িত্বশীল অবদান রাখতে হবে। আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করলে, সোনার বাংলা গড়তে বেশি সময় প্রয়োজন হবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে গতিশীল হয়েছে। ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। আমাদের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনেক। দেশের মানুষ যে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া সহজেই বাণিজ্য সংক্রান্ত সেবা পেতে চায়। সততা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের সে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে কাজ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এবার প্রকৃত রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারর কম হবে না। আগামী দুই বছর পর বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ২০১৯ সালে ১ জুলাই থেকে অনলাইন সিস্টেম “অনলাইন লাইসেন্সিং মোডুল (ওএরএম)” কার্যক্রম শুরু করে। ব্যবসায়ীদের জন্য সকল সেবা (প্রায় ৫২টি) অনলাইনে নিশ্চিত করা হলো। এ সেবা গ্রহণের জন্য তৃতীয় কোন পক্ষ বা ব্যক্তির সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আমদানি ও রপ্তানি অফিসের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম।