আ.লীগ পবিত্র রমজানে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা করেছিল আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগই এখন বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করছে। আজ শনিবারের (১ এপ্রিল) কর্মসূচি রাজধানীর নির্ধারিত স্থানে হতে দেওয়া হয়নি।
রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রমজান মাসে কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মানে হয় না। অথচ, তারাই আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। আপনাদের জন্য সব হালাল, আমরা করলে হারাম। আজকে এই পবিত্র রমজান মাসেও আমাদের প্রোগ্রামে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের পূর্বনির্ধারিত নয়াপল্টনে প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হয়নি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রতি হামলা-মামলা নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর যখন এই আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও তারা ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেছিল, হত্যা করা হয়েছিল অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক সাংবাদিককে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। আজকে প্রবাসীরাও সরকারের কাছে নিরাপদ নয়। সেখানে বসেও সরকারের সমালোচনা করলে তাদের আত্মীয়স্বজন হেনস্তা করা হচ্ছে, আক্রমণ করা হচ্ছে। এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বেআইনিভাবে আবারও ক্ষমতায় এসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে চায়।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘এ সরকার আজ জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে পুরোপুরিভাবে কতৃত্ববাদি ও ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে। এ আন্দোলন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। এ আন্দোলন দেশ বাঁচানোর আন্দোলন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. মোহাম্মদ ইবরাহীম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।