ই-কমার্সে কোরবানির গরু কিনে প্রতারিত বাণিজ্যমন্ত্রী
একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কোরবানির গরু কিনে নিজেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘এক বছর আগে কোরবানির ঈদে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকালে কোরবানির জন্য একটি গরুর অর্ডার করে এক লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে যে গরুটি দেখিয়েছিল, আমি সেটি পাইনি। আমি নিজেই অর্ডার করে প্রতারিত হয়েছিলাম।’
আজ রোববার ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের প্রধান মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য বি এম সালেহ উদ্দীন, ড. মো. মনজুর কাদির, নাসরিন বেগম, কমিশনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাফরুহ মুরফি, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি, সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
‘সম্পদ বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ সম্ভব’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। গুটিকয়েক অসৎ প্রতিষ্ঠানের কারণে ই-কমার্স বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ নেই। করোনাকালীন ই-কমার্স ভোক্তাদের সেবায় কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স সম্পর্কে মানুষের ধারণা পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। এ জন্য মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে, সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। ই-কমার্স বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে।
‘যেসব প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করেছে, সেগুলোর অনেক সম্পদ আছে। সম্পদগুলো বিক্রয় করলে অনেকের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব। এগুলো বিষয় মাথায় রেখে সরকার কাজ করছে’, যোগ করেন মন্ত্রী।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। মামলাটা আদালতে চলমান। শিগগিরই রায় হবে।
মফিজুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে ই-কমার্স সুনাম অর্জন করেছে, মানুষ উপকৃত হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অসৎ ব্যবসা ও প্রতারণার কারণে সব ই-কমার্স বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। ই-কমার্স বন্ধ না করে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা হবে। এখান থেকে ই-কমার্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে এবং কঠোরভাবে ডিজিটাল বাণিজ্য মনিটরিং করা হবে। একই সঙ্গে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।