উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তান বাংলাদেশের ধারে কাছেও নেই : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের অহংকার ২০২০ সালের বাংলাদেশ। সত্তরের নির্বাচনে বাঙালির মননে ‘পূর্ববাংলা শ্মশান কেন’ যে পোস্টারটি দাগ কেটেছিল সেই বাঙালি আজকের বাংলাদেশ নিয়ে বিজয়ের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে। বৈশ্বিক উন্নয়নের তুলনামূলক সূচকে পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের ধারে কাছেও নেই বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ বুধবার নেত্রকোনায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাত আলী জহির বীরপ্রতীক, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার আদিত্য প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মোস্তাফা জব্বার জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার চলমান ডিজিটাল বিপ্লব সফল করতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সামনের দিনগুলো অতীতের মতো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সৈনিক হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরিক হতে পারিনি। অতীতের সব পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভিযাত্রায় শরিক হয়েছে।
অতীতের শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সফল হবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা কৃষিক্ষেত্রেও সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই জন্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। সামান্যতম ডিজিটাল জ্ঞান না থাকলে পৃথিবীতে সফলভাবে টিকে থাকা কঠিন হবে।
মন্ত্রী নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সুনামগঞ্জসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির ইতিহাস বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ইতিহাস। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাঙালির এগিয়ে যাওয়ার সোপান হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সমকক্ষতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে। সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস আমরা রপ্তানি করছি। গ্রামের শিশুটিও ইন্টারনেট চায়, এর চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অবদান জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।