এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বরখাস্ত হওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুনানিতে তার আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আজ সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দুদক থেকে বরখাস্ত হওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত খন্দকার এনামুল বাছির জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জামিন দিলেও পরে সেই জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।