কারাগারে স্বাবলম্বী ৩৭০ কয়েদি
কারাগারে থেকেই স্বাবলম্বী ৩৭০ কয়েদি। করেন সেলাই, তাঁত ও নকশি কাঁথার কাজ, ইলেকট্রিক ও কাঠের কাজ। এসব কাজ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে দিচ্ছেন ব্যক্তিগত খরচের যোগান। পাশাপাশি কারাবিধি অনুযায়ী মওকুফ হচ্ছে সাজাও।
ভাণ্ডারিয়ার বাসিন্দা হত্যা মামলার যাবজ্জীবনের আসামি তাঁত ঘরের ইনচার্জ মিলন তালুকদার (৭৬) জানান, কারাগারের ভেতরে তাঁতের কাজ করে অর্জিত টাকায় নিজের দৈনন্দিন ব্যয় মেটাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এখন আর তাঁকে টাকা নিতে হয় না।
স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাহানারা বেগম জানান, কারাগারের মধ্যে সেলাই চালনায় প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন তিনি স্বাবলম্বী। তিনি কারাগারের মধ্যে বসে কাজ করে সাজা মওকুফের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
আজ বুধবার সাবলম্বীদের উৎসাহ দিতে সকালে কারাভ্যন্তরে এক সভায় সেলাই মেশিন ও পোশাক বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় তিনি তিন পুরুষ কয়েদিকে সেলাই মেশিন ও ৪০ নারীকে পোশাকসহ হস্ত ও কুটির শিল্পের নানান উপকরণ প্রদান করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি বরিশালের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার শাহ আলম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল মামুন তালুকদার ও প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ, রিয়াজউল কবির রেজিন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার হাজতী ও কয়েদিদের উদ্দেশে বলেন, ‘মুক্তির পর কোনো প্রলোভনে না পরে নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে অপরাধ থেকে বিরত থাকতে হবে। অতীতের মুক্তি পাওয়া ৭০ কয়েদিকে ভ্যানগাড়ি ও সেলাই মেশিন দিয়ে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে আপনাদেরও সেই সহায়তা করা হবে।’