কিশোরগঞ্জে অস্ত্র আইনে দুজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে রঞ্জন চৌধুরী ওরফে মেজর রঞ্জন ওরফে প্রদীপ রায় (৫৯) ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে (৬৯) বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন দুই আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমামের দেওয়া তথ্য ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকায় মেজর রঞ্জন ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে আটক করে র্যাব-৯ এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, হাতবোমা তৈরির উপকরণসহ চারটি বোমা ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র্যাব।
এ ঘটনায় র্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. করিমুল্লাহ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক চারটি মামলা করেন।
২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি মেজর রঞ্জন চৌধুরী ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে করা তিনটি মামলায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনের দুটি মামলার রায় হয়। রায়ে রঞ্জন চৌধুরী ওরফে প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অস্ত্র আইনের মামলায় বেকসুর খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
রঞ্জনের বাড়ি আসামের ধুবড়ি জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামে। শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার গজনির বাসিন্দা মনিন্দ্র হাগিদের মেয়ে রাবিত্র ভ্রমকে বিয়ে করে তিনি গোপনে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। এ সময় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে প্রদীপ মারাক তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন।