কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ; পুলিশসহ আহত ২৫
জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহতের প্রতিবাদে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার পৌর এলাকায় বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনার সময় লাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে দুপুরের পর থেকে পৌর এলাকায় জড়ো হতে থাকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। কর্মসূচির অনুমতি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে তাদের। এ সময় পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপের কারণে আহত হন বেশ কয়েকজন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, ‘পুলিশ আমাদের অন্যায়ভাবে লাটিপেটা করেছে। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে আমাদের ২০ জন কর্মী আহত হয়।’
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিই, কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ মুহূর্তে সঠিক সংখ্যা বলতে পারব না। পাঁচজনের বেশি হবে।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম জানান, দুপুরে বিএনপির পূর্বঘোষিত জনসভা ছিল নাঙ্গলকোটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নাঙ্গলকোট সদরের লোটাস চত্বরে অবস্থান নেয়। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।