কুমিল্লায় বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বিরুলিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হককে প্রধান করে ৩ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম এবং উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রতিনিধি।
আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বিরুলিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার কিছু পরে বেলুনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঢালুয়া ইউনিয়নে আগামীকাল শনিবার ঐতিহ্যবাহী ঠাণ্ডাকালীর মেলা বসার কথা ছিল। আর এতে গ্যাস বেলুন বিক্রি করতে আনোয়ার হোসেন নামের এক বেলুন বিক্রেতা বিকেলে বাড়ির সামনে বসে সিলিন্ডারের হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলাচ্ছিলেন। এসময় আশপাশের কয়েকটি বাড়ির শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়। সে সময় সিলিন্ডারটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
এর পরপরই বেলুন বিক্রেতা আনোয়ারসহ আহত শিশু ও অন্যদের তাৎক্ষণিকভাবে লাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মির্জা মু. তায়েইবুল ইসলাম বলেন, ২০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১৩ জনই শিশু। একজন শিশুর অপারেশন করা হয়েছে। বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনসহ পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আনোয়ার ছাড়া অন্য চারজন হলো সাইফুল ইসলাম, সাব্বির, ইমন ও আবদুর রব। আহতদের চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।