খাদ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগের দুই বছর পর তদন্তের চিঠি
খাদ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে দীর্ঘ দুই বছর দুই মাস দুই দিন পর তা তদন্ত করতে আজ মঙ্গলবার একটি অফিশিয়াল চিঠি পেয়েছেন অভিযোগকারী। ওই অভিয়োগকারী হচ্ছেন দৈনিক যুগান্তরের কিশোরগঞ্জের ভৈরব প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ফারুক।
উল্লেখ্য, ভৈরব খাদ্য গুদামের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক খোরশেদ আলমের ঘুষ-দুর্নীতি নিয়ে ২০১৯ সালে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয় যুগান্তরে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খোরশেদ আলম তার ফেসবুকে আসাদুজ্জামান ফারুকের বিরুদ্ধে অশালীন, অসত্য, মিথ্যা অপবাদ লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন।
এতে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক সম্মানহানি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ বিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে খাদ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে তিনি একটি অভিযোগ দেন ডাকযোগে। এই অভিযোগটির তদন্ত করতে দীর্ঘ দুই বছর দুই মাস দুই দিন পর আজ মঙ্গলবার একটি অফিশিয়াল চিঠি আসে আসাদুজ্জামান ফারুকের কাছে।
চিঠির প্রেরক ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী। তিনি ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বর ভৈরব খাদ্য গুদামে অভিযোগকারীকে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘চিঠিটি পেয়ে আমি অবাক হয়েছি। এত দিন পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অভিযোগটি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিলেন। কচ্ছপগতির এমন সিদ্ধান্তের কারণেই দেশের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না। মান-সম্মান হারিয়ে ধুকে ধুকে মরলেও সঠিক বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।’
তার পরও তার অভিযোগটি শেষ পর্যন্ত তদন্ত হওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান।