খুলনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আটক
খুলনার কয়রা উপজেলায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলামকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব-৬-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বজলুর রশীদ আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে কয়রা উত্তরচক আমিনীয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনার ওই শিক্ষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। একইসঙ্গে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ওই শিক্ষকের স্ত্রী থানায় মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম দোহা।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগ ও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার মাদ্রাসায় বসে কাজ করছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান। ওই সময় সদর ইউপির চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম এবং ওই মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা আব্দুল মালেকের নির্দেশে স্থানীয় ইউনুসুর রহমান বাবু, মো. নিয়াজ হোসেন, মাসুদুর রহমান, মিলন হোসেন, জহুরুল ইসলাম, রিয়াল, আমিরুল, অমিত মণ্ডল, রফিকুল গাজী, সাদিকসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক তাঁকে কলার ধরে রুম থেকে বের করে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এরপর তাঁকে সেখানেই ফেলে চোখ, ঘাড়, কান ও পিঠে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
আরও অভিযোগ করা হয়, মারধরের পর ওই শিক্ষককে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁকে আঘাতের নির্দেশ দেন। সেখানেও ওই শিক্ষককে মারধর করা হয়। এতে তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান তাঁকে মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন।
পরে এ ঘটনাটি পরিবারের সদস্যেরা থানায় জানালে পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। এরপর ওই শিক্ষককে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবার। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।