গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঈদের পঞ্চম ও শেষ জামাতের পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘ইসরায়েল ন্যাক্কারজনকভাবে ফিলিস্তিনের নামাজরত মানুষের ওপর হামলা করেছে। এমন বর্বর হামলার পরেও বিশ্ব সম্প্রদায় চুপ হয়ে আছে। জাতিসংঘও কিছু বলছে না।’
হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘এ বর্বরতার অবসান হওয়া দরকার। ইসরায়েল তাদের সম্প্রসারণ নীতি দিয়ে গাজা উপত্যকায় বসতি গড়ে তোলে। প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর তারা তাদের দখল কায়েম করছে। ইসরায়েলের দখলদার নীতি অব্যাহত থাকলেও এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় কিছুই বলছে না।’
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা উত্তরের সভাপতি ফজলে বারী মাসুদ বলেন, ‘ইসরায়েল অভিশপ্ত জাতি। তাদের এ উগ্রবাদী আচরণ নতুন নয়। তারা ইসলামের অনেক নবীকেও হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি।’
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব কাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এর জন্য ১৪ মে ঈদের দিন বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ ৭৩ বছর আগে ওই রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করেছে। ফিলিস্তিনিরা যেমন প্রতি বছর এ দিনটা কালো দিবস হিসেবে পালন করে। এখন থেকে ইসলামী আন্দোলনও প্রতি বছর দিনটিকে কালো দিবস পালন করবে।’
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ আন্দোলনে আমরা জান দেব। বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাই। সময় এসেছে মুসলমানদের একত্রিত হওয়ার। ইসলামকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে প্রাণ দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
বিক্ষোভ ঘিরে যেকোনো ধরনের সহিংসতা অথবা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভে বাংলাদেশে পড়ুয়া বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীও অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে আশপাশের এলাকায় সংক্ষিপ্ত মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেরুসালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা চলছিল। এর প্রতিবাদে গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভে নামেন ফিলিস্তিনিরা। গত সোমবার ভোর থেকে গাজায় হামলা বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে এ পর্যন্ত ১১৩ জন নিহত হয়েছে। গাজা থেকে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে। এতে ইসরায়েলে একজন ভারতীয় ও ছয়জন ইসরায়েলি নিহত হয়।